সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫৬ এএম
বাজেটের আগে ব্যাংকিং খাত নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াসহ অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকারও করেছেন। সরকারের জন্য বর্তমানে যেটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও মাথাব্যথার কারণ, তা হলো ব্যাংকিং খাতের চরম নাজুক অবস্থা।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছেই এবং তা এখন ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫ ব্যাংকেই কু-ঋণে পরিণত হয়েছে ৫৫ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। যা মোট খেলাপির ৫০ দশমিক ০৭ শতাংশ। ইতোমধ্যে সরকার খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের নানা রকম সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সাফল্য আসেনি। অর্থনৈতিক প্রবাহ অব্যাহত রাখার কথা বলে বড় বড় ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকদের একচোখা সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থায় কতটুকু সুফল বয়ে আনবে, তা বহুবার ভাবতে হবে। যে সকল ঋণ গ্রহীতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন পরিশোধ না করার জন্য (ইচ্ছাকৃত খেলাপি!) সেই সমস্ত ঋণ গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসনের আশ্বাস হাস্যকর মাত্র!
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। কিন্তু এরপরও ১৭ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে। পুরো পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। আর এই খেলাপি ঋণের একটি অংশ যে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ইন্টেগ্রিটির ইতোমধ্যে জানিয়েছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার কোটি ডলার পাচার হয়েছে।
বাজেটে ব্যাংক কমিশন গঠন নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে উদ্যোগের কথা বলেছেন সেটা ভালো। তবে কমিশন হলেও কার্যকরী পদক্ষেপের মাত্রা কতটুকু হবে? কমিশনে কাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। খেলাপি ঋণ নিয়ে যেসব নিয়মকানুন করা হচ্ছে, সেটা তাৎক্ষণিক কাগজে-কলমে কিছু সুফল মিলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়াসহ অর্থঋণ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে কোর্টে আলাদা বেঞ্চ করতে হবে।
সরকার কতদিন রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক এমনকি বেসরকারি ব্যাংককে টাকা দিয়ে যাবেন। ইতোপূর্বে সরকারের এ পদক্ষেপে দেশের বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা খুবই মর্মাহত হয়েছেন। সম্প্রতি ব্যাংক খাতে সরকারি উদ্যোগে মূলধন জোগান দেওয়ার বদলে দু-একটি ব্যাংককে ‘মরে যেতে’ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘সরকারি ব্যাংকে সরকার নিয়মিত মূলধন জোগান দিচ্ছে। এমনকি বেসরকারি ব্যাংককেও উদ্ধার করা হচ্ছে। এটা ভালো উদাহরণ তৈরি করছে না। এতে অনেকে মনে করতে পারেন, খারাপ করলে অসুবিধা কি, সরকারতো আছেই। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে এখন তারল্য সংকট চলছে। সরকার ৪৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিলে বেসরকারি খাত ঋণ কোথায় পাবে?’
২০১৯-২০ অর্থবছরের নুতন বাজেটে ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘ব্যাংকিং খাত শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো প্রকার সংস্কার আমরা লক্ষ্য করিনি। ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ গ্রহীতা ঋণ গ্রহণ করে ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে তার জন্য কোনো প্রকার ‘এক্সিট’-এর ব্যবস্থা ছিল না। আমরা এবার এই কার্যক্রমটি আইন প্রক্রিয়ায় সুরাহার লক্ষ্যে একটি কার্যকর ইনসলভেন্সি আইন ও ব্যাংক্রাপ্টসি আইনের হাত ধরে ঋণ গ্রহীতাদের এক্সিটের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া খেলাপি আদায়ে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ব্যাংকখাতে দুর্নীতি, লুটপাট প্রতিরোধ করে ঘাটতি মোকাবেলার বাস্তব প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকৌশল গ্রহণ করতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ার পরিসংখ্যানে আত্মতুষ্টি ঠিকই; কিন্তু বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আর কত কাল?
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পাশাপাশি বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণের লজ্জা ঢাকতে পরের বছর আরও বড় আকারে বিদেশি ঋণের ফাঁদে দেশ আটকে যাওয়ার উদ্বেগটুকুও নেই, সমাধানের পদক্ষেপ তো দূরের কথা! দেশের শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করার লক্ষ্যে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদের হার এক অংকের ওপর না রাখার প্রস্তাব ইতিবাচক দিক।
এ ছাড়াও প্রয়োজনবোধে ব্যাংক একীভূতকরণ ও দরকার হলে সেটা যেন আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যায় তার জন্যও ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার প্রস্তাবনাও ভালো দিক।
গতবারের তুলনায় এ বছর শিক্ষাখাতে বাজেট বেড়েছে সত্য, কিন্তু সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষার জন্য এখনও তা খুবই অপ্রতুল। আর স্বাস্থ্যখাতের এ বাজেট নিয়ে কীভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়িত হবে তা বোধগম্য নয়।
বাংলাদেশে শ্রমিক হিসেবে সবচেয়ে মজলুম গোষ্ঠী হল সাংবাদিকরা। তাদের কেবল বেতন সামান্য তাই নয় সাংবাদ... বিস্তারিত
আমরা এখন ২০২২ সালের সময়ের জীবন যাপন করছি। এমন সময়ে যদি শোনেন ভার্জিনিটি একটি পণ্য আপনার সামর্থ্য থ... বিস্তারিত
ইতিহাসে ভালোবাসার নানা গল্প। গল্প নিয়ে মহাকাণ্ড। কেউ বলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনে রোমান দেব-দেবীর রান... বিস্তারিত
ডিসকভারি চ্যানেলে বাঘ যখন তার হিংস্র থাবায় শিকারীকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে তাকে ভক্ষণ করে তখন আমরা শ... বিস্তারিত
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। মওলানা আবদুল হাম... বিস্তারিত
যৌবনের পুরো সময়টা কাটিয়েছিলেন প্রবাসে। সুখ নামক সোনার হরিণ ধরা হয়নি ওমানের তপ্ত রোধে ১৮ বছরের বেশ... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত